কিছু হোমিওপ্যাথিতে ঘুমের ঔষধ নিচে আলোচনা করা হলো
হোমিওপ্যাথিতে ঘুমের ঔষধ নিচে আলোচনা করা হলো আর বহু পরিচালিত এলোপ্যাথিক ঘুমের ট্যাবলেট গুলো ক্রনিক অনিদ্রা রোগের চিকিৎসা তেমন কোন উপকার করে না। বরং এগুলো কেহ দীর্ঘদিন খেলে তার প্রতি নেশা হয়ে থাকে, তাছাড়া এই ওষুধগুলো আমাদের বিবেক বিচার ক্ষমতা স্মরণশক্তি বুদ্ধি মাত্রা ইত্যাদি সমূহ ক্ষতি করে থাকে, তাই আমাদের তাই আমাদের হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিচে আলোচনা করা হলো
Kali phosphoricum:
ক্যালি ফস অনিদ্রার একটি সেরা ঔষধ। বিভিন্ন কঠিন রােগ ভােগ, অত্যধিক শারীরিক-মানসিক পরিশ্রম, অপুষ্টি, দীর্ঘদিন যাবত স্তন্যদান,করা ইত্যাদির মাধ্যমে সৃষ্ট নিদ্রাহীনতায়(বা অন্যকোন রােগে) ক্যালি ফস খেতে হয়।মাঝে মাঝে সপ্তাহ খানেক বিরতি দিয়ে দীর্ঘদিন খান। হৃদপিন্ড, স্নায়ু এবং মস্তিষ্কের
উপর ইহার প্রশান্তিকারক ক্রিয়া বিদ্যমান। তাছাড়া যেহেতু এটি একটি ভিটামিন জাতীয় ঔষধ, তাই ইহার কোন
ক্ষতিকর সাইড-ইফেক্ট নাই বললেই চলে
Coffea cruda:
মানসিক উত্তেজনা, উৎকণ্ঠা, দুঃশ্চিন্তা থেকে অনিদ্রা দেখা দিলে তাতে কফিয়া প্রযােজ্য। সুসংবাদ
শুনে, আনন্দের আতিষয্যে, শিশুদের দাঁত ওঠার বয়স বা রাত জাগার কারণে অনিদ্রা হলে তাতে কফিয়ার কথা ভাবতে হবে। মহিলাদের সন্তান প্রসব পরবর্তী সময়ের অনিদ্রায় কফিয়া ভালাে কাজ করে। খুবই সেনসেটিভ রােগীদের ক্ষেত্রে কফিয়া প্রযােজ্য যারা আওয়াজ সহ্য করতে পারে না, গন্ধ সহ্য করতে পারে না, স্পর্শ সহ্য করতে পারে না ইত্যাদি ইত্যাদি।
Ambra Grisea:
সাধারণত চাকুরি বা ব্যবসা সংক্রান্ত দুঃশ্চিন্তার কারণে নিদ্রাহীনতা হলে তাতে এমব্রাগ্রিসিয়া
প্রযােজ্য। সারাদিন পরিশ্রম করে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে কিন্তু যখনই বালিশে মাথা রাখে, সাথে সাথেই ঘুম। চলে যায়। এই ঔষধের একটি অদ্ভুত লক্ষণ হলাে এরা অপরিচিত কেউ সামনে বা আশেপাশে থাকলে, পায়খানা করতে পারে না।
Nux vomica:
রাতে বিছানায় যাওয়ার পরে সারাদিনের কাজ-কর্মের চিন্তা মাথার ভিতরে কিলবিল করতে থাকে ফলে ঘুম আসতে চায় না।
বিশেষত যারা বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন করে, বেশী বেশী চা-কফি পান করেন,যাদের পেটের অসুখ বেশী হয়,
নাক্স তাদের অনিদ্রায় ভালাে কাজ করে থাকে
Opium:
ঘুমঘুম ভাব কিন্তু ঘুম আসে না। খুবই সেনসিটিভ,ঘড়ির কাটার শব্দ কিংবা দূরের কোন মােরগের ডাকেও তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। দুঃস্বপ্ন দেখে, কুকুর, বিড়াল, প্রেতাত্মা,বােবায়ধরা স্বপ্নে দেখে, ঘুমের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসে ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে অপিয়াম
Hyoscyamus niger:
মাত্রাতিরিক্ত মাথা খাটুনির কাজ (brainwork) করার কারণে অনিদ্রা দেখা দিলে তাতে হায়ােসাইয়েমাস খেয়ে উপকার পাবেন। মাথার মধ্যে জোয়ারের পানির মতাে ফালতু চিন্তার স্রোত বইতে থাকে। যদি শিশুরা ঘুমের মধ্যে চীৎকার করে ওঠে, কঁপতে থাকে; তবে তাতে হায়ােসায়েমাস প্রযােজ্য।
Sulphur:
সকাল ১১টার দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া, শরীর গরম লাগা, মাথা গরম কিন্তু
পা ঠান্ডা, মাথার তালু-পায়ের তালুতে জ্বালাপােড়া ইত্যাদি লক্ষণ পাওয়া গেলে নিদ্রাহীনতা রােগেও সালফার প্রয়ােগ করে দারুণ ফল পাবেন।
Belladonna:
যদি মুখমন্ডল বা মাথা গরম বা লাল হয়ে থাকে, মাথা ব্যথার থাকে, শরীরে জ্বালা-পােড়াভাব থাকে ইত্যাদি কারণে নিদ্রাহীনতা দেখা দেয়, তবে তাতে বেলেডােনা প্রযােজ্য।
chamomilla:
শরীরের কোথাও মারাত্মক ব্যথার কারণেঘুমাতে না পারলে, সেক্ষেত্রে ক্যামােমিলা প্রয়ােগ করতে হবে। যারা অর্থহীন আজেবাজে স্বপ্নের কারণে শান্তিতে ঘুমাতে পারে না, ঘুমের ভেতরে ছটফট করতে থাকে,দুবর্ল-নার্ভাস মহিলা, শরীর গরম, প্রচুর পিপাসা ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে ক্যামােমিলা উপকার দিবে।
Arsenic album:
মাত্রাতিরিক্ত অস্থিরতা, এক মূহূর্তও এক পজিশনে স্থির থাকতে পারে না, লক্ষণ থাকলে তাতে আর্সেনিক খেতে হবে।
রাতে একবার ঘুম ভাঙলে আর ঘুম আসে না।
হোমিওপ্যাথিতে ঘুমের ঔষধ
Gelsemium:
সাধারণত যারা অতিরিক্ত মানসিক পরিশ্রম করেন অথবা বিষন্নতায় ভােগেন, তাদের অনিদ্রা দূর করতে ব্যবহৃত হয়।
Ignatia amara:
সাধারণত শােক-দুঃখ-বিরহ-বিচ্ছেদ ইত্যাদি কারণে ঘুম না আসলে তাতে ইগ্নেশিয়া প্রযােজ্য।
এদের ঘুম এত পাতলা হয় যে, তারা ঘুমের মধ্যে চারপাশের সবকিছুই শুনতে পায়।
Magnesium carbonica:
সাধারণত পেটের কোন অস্বস্তি, ভীষণ শীতকাতর-জামাকাপড় খুলতে চান না,
পেটে গ্যাসের উৎপাত, আক্কেল দাঁত ওঠা, সারারাত ঘুমিয়েও ফ্রেস লাগে না বরং ঘুম থেকে ওঠার পরে খুবই টায়ার্ড লাগে-মনে হয় সারারাত কুস্তি খেলেছেন, আগুন-ডাকাত-ঝগড়া-মরা মানুষ ইত্যাদি স্বপ্ন দেখে ইত্যাদি লক্ষণে ম্যাগ কার্ব খেতে পারেন।
cocculus indicus:
সাধারণত ভীতু, নার্ভাস, অত্যধিক পড়াশােনা করে এমন লােকদের ক্ষেত্রে কুকুলাস প্রয়ােগ
করতে হয়। রাত জেগে কাজ করার কারণে যদি অনিদ্রা দেখা দেয়, তবে অবশ্যই ককুলাস খাবেন।
Cannabis indica:
ক্যানাবিস ইন্ডিকা সাধারণত দীর্ঘদিনের পুরনাে এবং দুরারােগ্য অনিদ্রা রােগে প্রযােজ্য। যাদের একেক দিন একেক টাইমে ঘুম আসে, দিনে ঘুম আসে প্রচুর, রাতের ঘুমে কোন আরাম পাওয়া যায় না, রাতে গরম লাগে যেন কেউ তার গায়ে গরম পানি ঢালতেছে ইত্যাদি লক্ষণে ক্যানাবিস খেতে পারেন।
যেহেতু এই ঔষধটি গাঁজা থেকে তৈরী করা হয়, তাই বলা যায় গাঁজার নেশা।
বিঃদ্রঃ- ডাক্তারের পরার্মশ ছাড়া ঔষধ খাবেন না।ডাক্তারের পরার্মশ ছাড়া ঔষধ খেয়ে বিপদ ঢেকে আনবেনা।অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন, সুস্থ থাকুন।(এই সকল পোষ্টগুলো মুলত হোমিওপ্যাথিক ডাঃ এবং হোমিওপ্যাথিক ছাত্রদের সুবিধার্থে দেয়া হয়।)