পুরুষত্বহীনতা বা IMPOTENCY  হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

পুরুষত্বহীনতা বা IMPOTENCY  হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

পুরুষত্বহীনতা বা IMPOTENCY  হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পুরুষত্বহীনতা যা পুরুষের শারীরিক অক্ষমতা  বা দুর্বলতাকে বুঝায়। যা সমাজে প্রকট আকার ধারন করেছে। এতে উঠতি বয়সের যুবকরা হতাশ। এ সমস্যা যে কোন বয়সেই হতে পারে, সে ক্ষেএে লজ্জা, অবহেলা,  আজ কাল, না করে জটিল হওয়ার পূর্বেই দ্রুত চিকিৎসা নেয়া আবশ্যক।

পুরুষত্বহীনতা কি?

ইহা পুরুষের যৌনকার্যে অক্ষমতাকে বুঝায়।

★শ্রেণীবিভাগঃ পুরুষত্বহীনতাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

১| ইরেকশন ফেইলিউরঃ পুরুষের লিঙ্গের  উথানে ব্যার্থতা।

২|পোনিট্রেশন ফেলিউরঃ লিঙ্গের যৌনিদ্বার ছেদনে ব্যার্থতা বা অক্ষমতা।

৩|প্রি-ম্যাচুর ইজাকুলেশনঃ সহবাসে দ্রুত বীর্যপাত  তথা স্বায়ীত্বের অভাব।

কারণঃ * অতিরিক্ত  কু-অভ্যাস ( হস্তমৈথুন, পর্ণ ছবি,) * যৌনবাহিত রোগ( সিফিলিস, গনোরিয়া).* রক্তে সেক্স-হরমোনের ভারসাম্যহীনতা,* ডায়াবেটিস,   *দুশ্চিন্তা,টেনশন, অভসাদ, ও অ-পুষ্টি,  *যৌনরোগ বাএইডস ভীতি, * সেক্স-এডুকেশের অভাব. * বয়সের পার্থক্য,   *পার্টনারকে অপছন্দ(দেহ-সৌষ্ঠব,ত্বক, মূখশ্রী,আচরন, ব্যক্তিত্ব). * নারীর ত্রুটিপূর্ণ যৌনাসন, * মানসিক ও শারীরিক সম্যসা।অনেকই হাতুড়ে ডাক্তার,  ক্যান্ভাচারের নিকট থেকে হরমোন ইন্জেকশন, টেবলেট  অনুমোদনহীন ক্ষতিকর ঔষধ সেবন করে,এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায় পুরুষত্বহীনতার আশঙ্কা অনেক বেশী যা থেকে আরোগ্য কঠিন।

 যৌন সমস্যার মধ্যে আরো রয়েছে স্বপ্নদোষ সমস্যা, লিঙ্গ অকেজো,ক্ষুদ্রাকৃতি,  লিঙ্গের অসারতা,  ইচ্ছা লোপ, বিবাহ ভীতি।

এসব সমস্যায় হোমিওপ্যাথি সবচেয়ে কার্যকর। এর কোনো বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। লজ্জা ও জড়তা ঝেড়ে ফেলে খোলা মনে ডাঃ এর সাথে আলাপ করুন। এ সমস্যা খুবই সাধারণ এবং এর  সফল চিকিৎসা রয়েছে।

পুরুষত্বহীনতা বা IMPOTENCY  হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

হোমিওপ্যাথি_চিকিৎসা+ Counselling..

হোমিওপ্যাথি ঔষধ পাশাপাশি কাউনসিলিং এর সাহায্যে, পুরুষত্বহীনতা বা যৌনরোগের সহজ এবং স্বল্প  খরচে কোন রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন প্রাকৃতিক ভাবে শতভাগ আরোগ্য করে, অন্যদিকে মহিলাদেরও যৌন দুর্ববলতা, যৌনকর্মে ‍অনীহা ইত্যাদি থাকতে পারে এবং হোমিওপ্যাথিতে তারও চিকিৎসা  আছে।

Lycopodium clavatum:

লাইকোপোডিয়াম ধ্বজভঙ্গের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। মাত্রাতিরিক্ত ধূমপানের কারণে ধ্বজভঙ্গ হলে এটি দিবেন। লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো

এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের ব্রেন খুব ভালো কিন্তু স্বাস্থ্য খুব খারাপ, এদের প্রস্রাব অথবা পাকস্থলী সংক্রান্ত কোন না কোন সমস্যা থাকবেই, অকাল বার্ধক্য, সকাল বেলা দুর্বলতা ইত্যাদি ইত্যাদি।

Selenium:

যৌন শক্তির দুর্বলতা, দ্রুত বীর্য নির্গত হওয়া, স্বপ্নদোষ, মাথার চুল পড়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় সেলিনিয়াম একটি প্রথম শ্রেণীর ঔষধ।

বিশেষত যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে।

Agnus Castus:

 গনোরিয়া রোগের পরে যৌন দুর্বলতা দেখা দিলে এটি ভালো কাজ করে। পুরুষাঙ্গ ছোট এবং নরম হয়ে যায়, পায়খানা

এবং প্রস্রাবের আগে-পরে আঠালো পদার্থ নির্গত হয়, ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।

Caladium seguinum:

যারা যৌনমিলনে কোন আনন্দ পান না বা যৌনমিলনের পর বীর্য নির্গত হয় না বা যাদের বীর্য তাড়াতাড়ি নির্গত হয়ে যায়,

যারা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে দুর্বল হয়ে পড়েছেন, তাঁদের জন্য কার্যকরী।

Origanum marjorana:

ওরিগ্যানাম ঔষধটি পুরুষ এবং নারীদের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। তবে এটি নিম্নশক্তিতে দেওয়া উচিৎ কেননা উচ্চশক্তিতে কোন ফল পাওয়া যায় না।

Moschus Moschiferus:

ডায়াবেটিস রোগীদের ধ্বজভঙ্গে এটি ভালো কাজ করে। এটি ক্ষুদ্রাকৃতি হয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গকে পূর্বের আকৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

Staphisagria:

পুরুষদের যৌন দুর্বলতা দূর করার ক্ষেত্রে স্টেফিসেগ্রিয়া একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত অতিরিক্ত যৌনকর্ম করার কারণে বা মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে যাদের ধ্বজভঙ্গ হয়ে গেছে, তাঁদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য।

বিয়ের প্রথম কিছুদিনে মেয়েদের প্রস্রাব সম্পর্কিত অথবা যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত কোন সমস্যা হলে নিশ্চিন্তে স্টেফিসেগ্রিয়া নামক ঔষধটি দিতে পারেন। কারণ স্টেফিসেগ্রিয়া একই সাথে যৌনাঙ্গ সম্পর্কিত রোগে এবং আঘাতজনিত রোগে সমান কাযর্কর।

Salix nigra:

মাত্রাতিরিক্ত যৌনকর্ম, হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ প্রভৃতি কারণে সৃষ্ট পুরুষদের যৌনকর্মে দুর্বলতা বা অক্ষমতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো স্যালিক্স নাইগ্রা।

এসব কারণে যাদের ওজন কমে গেছে, এই ঔষধ একই সাথে তাঁদের ওজনও বাড়িয়ে দিয়ে থাকে যথেষ্ট পরিমাণে।

পাশাপাশি অবিবাহিত যুবক-যুবতী বা যাদের স্বামী-স্ত্রী বিদেশে আছেন অথবা মারা গেছেন, এই ঔষধ তাঁদের মাত্রাতিরিক্ত উত্তেজনা কমিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনে সাহায্য করে।

Sabal serrulata:

সেবাল সেরুলেটা পুরুষদের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি হজমশক্তি, ঘুম, শারীরিক শক্তি, ওজন (কম থাকলে) ইত্যাদিও বৃদ্ধি পায়। এটি মেয়েদেরও যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে থাকে এবং ক্ষুদ্রাকৃতির স্তনবিশিষ্ট মেয়েদের স্তনের আকৃতি বৃদ্ধি করে থাকে।

বয়ষ্ক পুরুষদের প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডের বৃদ্ধিজনিত যে-কোন সমস্যা এবং ব্রঙ্কাইটিস নির্মূল করতে পারে।

Conium:

স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অধিক কিন্তু অক্ষম।সহবাস কালে সোহাগ আলিঙ্গনের সময় লিঙ্গ শিথিল হইয়া পড়ে।

Calcarea Carb:

ক্যালকেরিয়া কার্ব যৌনশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। বিশেষত মোটা, থলথলে স্বাস্থ্যের অধিকারী লোকদের বেলায় এটি ভালো কাজ করে।

Natrum carbonicum:

যে-সব নারীদের পুরুষরা আলিঙ্গন করলেই বীযর্পাত হয়ে যায় (সহবাস ছাড়াই) অর্থাৎ অল্পতেই তাঁদের তৃপ্তি ঘটে যায় এবং পরে আর সঙ্গমে আগ্রহ থাকে না, তাঁদের জন্য উৎকৃষ্ট ঔষধ হলো নেট্রাম কার্ব।

এই কারণে যদি তাঁদের সন্তানাদি না হয় (অর্থাৎ বন্ধ্যাত্ব দেখা দেয়),

তবে নেট্রাম কার্বে সেই বন্ধ্যাত্বও সেরে যাবে।

Nux Vomica:

নাক্স ভমিকা ঔষধটি যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে একটি শ্রেষ্ট ঔষধ বিশেষত যারা শীতকাতর, যাদের পেটের সমস্যা বেশী হয়, সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকে, শারীরিক পরিশ্রম কম করে, মানসিক পরিশ্রম বেশী করে ইত্যাদি ইত্যাদি।

Titanium:

সঙ্গমে অতি শীঘ্রই বীর্যপাত ও বীর্যপাতলা

রতিশক্তির দর্ববলতায় উত্তম।

এছাড়াও আরো অসংখ্য মেডিসিন আছে লক্ষনের উপর নির্ভর করে অর্গানন অনুসারে রেপার্টরী করে সঠিক ঔষধ নির্বাচন করবেন। 

হোমিওপ্যাথি অর্গানন অব মেডিসিন সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলে নিজে নিজে ঔষধ সেবন করে বিপদ ডেকে আনবেন না। কারন পোস্টটা নবীন ডাক্তারদের জন্য লিখিত।

2