থুজা অক্সিডেন্টালিস কি?
থুজা অক্সিডেন্টালিস উৎস ও প্রারম্ভিক কথাঃ
একটি ঝাউ জাতীয় উদ্ভিদ ।
এর আরেক নাম জীবন বৃক্ষ (Tree of life)।
উত্তর আমেরিকার জলাভূমি,কানাডা এবং হিমালয়ের উচ্চ ঠান্ডা স্থানেও জন্মায় ।
পার্কে, বাগানে,অফিস বা বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে চাষ করা হয় ।
থুজা গাছের কান্ডের মধ্যে শক্ত, দেখতে কুৎসিত আঁচিল বা শ্লেষ্মা গুটির মত (Seedy warts or condylomata ) দেখা যায় ।
এ কারণে হয়তোবা কঠিন এবং কুৎসিত মনোবৃত্তি সম্পন্ন লোকদের! থুজা (Warts, Condylomata, Tumours Poypus etc ) একটি প্রধান ওষুধ হিসেবে চিহ্নিত ।
ইহার ফুল বা মুকুল গুলো দেখতে ডিম্বাকৃতি (Ovid) ।
এ কারণেই কিনা থুজা মানব দেহের ডিম্বাকৃতির গ্লান্ডগুলোর (যেমন Spleen, Pituitary, Ovaries, Testes, Prostate etc ) উপর বিশেষ ক্রিয়া প্রকাশ করে ।
থুজা গাছ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় । ইহার রোগীর রোগগুলো ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে শেষ পর্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক হয় ।
আর্নিকা মন্টেনা , নাক্স ভূমিকা ও সাইলেসিয়ার মতো থুজার নাম, আংশিক কার্যকারীতা সাধারণ মানুষ জানে !
তাই এদের ব্যবহার /অপব্যবহার হয়ও বেশি!
সাধারণ মানুষের অনেকের ধারণা থুজাই আঁচিলের একমাত্র ওষুধ
তাই নিজেই ওষুধ কিনে নিজের মনের মতো করে বা কারো পরামর্শে অথবা অনলাইন থেকে জেনে সেবন করেন বা করান । থুজার রোগী ক্ষেত্র ছাড়া এমনকি থুজার লক্ষণ যুক্ত রোগীও আরোগ্যলাভে ব্যর্থ হন।
আমার মতো কিছু চিকিৎসকও ভূল করে থুজার অপব্যবহার করেন! আমিসহ সে সব চিকিৎসক এবং নতুন চিকিৎসক যাঁরা এখনও ওষুধ নির্বাচনে পারদর্শীতা অর্জন করতে পারেননি -তাঁদের জন্য আমার এ পোস্টটি । আমার বিশ্বাস -আমার এবং তাঁদের উপকারে আসবে, এ লেখাটি । অভিজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দের তেমন একটা কাজে লাগবে না।
থুজা অপব্যবহারে কখনো কখনো জটিলতারও সৃষ্টি হয় । অনেক দিন পূর্বে আমাদের চিকৎসিত থুজার এক রোগী, নিজের ইচ্ছে মতো প্রায় দুই বছর Thuja 200 সেবন করার পরও যখন বৃদ্ধি ছাড়া কোন উন্নতি হয়নি বরং বেশ কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে, তখন আমাদের কাছে আসে । d
আমরা রোগীর আকৃতি প্রকৃতি
মানসিক লক্ষণসমূমহ , তার খাদ্যাভাস এবং
স্বপ্ন ও ঘুম থুজার সাদৃশ্য হওয়ায় Thuja CM পটেন্সি তিনটি মাত্রা প্রয়োগ করি।
রোগীর গোপণ করা আরো একটি রোগ এবং আঁচিলসহ মাস চারেকে মধ্যে রোগী আরোগ্য হন।
অতঃপর রোগী জানতে আসেন কি ওষুধে ভালো হয়েছেন !? তার পরিবারের আরও সদস্যদের এ ধরনের সমস্যা আছে । আমরা তাকে হোমিওপ্যাথির মূল বিষয়গুলো বুঝাতে পেরেছিলাম। উনি হোমিওপ্যাথি বোর্ড থেকে সনদ নিয়ে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ।u
থুজা ওষধটির প্রুভিংকৃত লক্ষণ প্রায় সাড়ে তিন হাজার । আমারা সবগুলো লক্ষণ আলোচনা করবো না ।
থুজা অক্সিডেন্টালিস সংক্ষিপ্ত আলোচনা
যাতে আমরা সহজেই তাকে চিনতে পারি বা
বুঝতে পারি ।
যদি আল্লাহ্ তা’আলা তাউফীক দান করেন ।
থুজা অক্সিডেন্টালিস সদা ব্যবহৃত বহুমুখী ও গভীর ক্রিয়াশীল সাইকোটিক একটি ঔষধ ।
ডাঃ স্যামুয়েল হানেমান ১৮১৯ খৃষ্টাব্দে ইহা প্রুফ
করে মেটেরিয়া মেডিকা পিউরাতে লক্ষণারাজি লিপিবদ্ধ করেন
মন, স্নায়ুমন্ডলী, গ্লান্ডসসমূহ, চর্ম, মিউকাস মেমবেনস, ওভারী ও মাথার পিছনের দিকে কাজ করে। থুজা সাধারণতঃ শরীরের বাঁদিকে বেশি কাজ করে (যেমন বাম ওভারী , বাম অণ্ডকোষ (পালস, রডো)।
রসপ্রধান, শ্লেষ্মা প্রধান, রক্তশূন্য মোমের মতো চকচকে মূখ মন্ডল (Ars), হাইড্রোজেনয়েড ধাতু বিশিষ্ট পেটমোটা থলথলে দেহযুক্ত ব্যক্তিদের উপর ভাল কাজ করে, অনেকে বলেনঃ পেটমোটা গনেশজির মতো (ক্যাল্কে-কা, গ্রাফাই, পালস )।
শরীর গরিলার মতো লোমশযুক্ত, জোড়া ভ্রুযুক্ত (কার্সি)।
থুজার রোগী সাধারণতঃ কালো কুচকুচে, মুখমণ্ডল চকচকে, মসৃণ তেলতেলে এবং শরীরের অনাবৃত অংশে ঘাম (মস্তক ব্যতীত )। ঘামে মিষ্টি বা ঝাঁঝাল গন্ধযুক্ত ।(এপিস, নেট্রাম-মি ও সোরিনাম )।
জটিল রোগে ভুগে রক্তশূন্য ও ফ্যাকাশে বা হলুদ রঙেরও হয়ে থাকে ।
জিহ্বার নীচে, চোখের পাতায় ছোট বড় উপমাংস বা আঞ্জনী জম্মে (এসি-নাই, ল্যাকে, স্ট্যফিস)।
থুজা রোগীদের দাঁতগুলো মাঢ়ীর পাশে ক্ষয় হয়ে যায় কিন্তু অগ্রভাগ ঠিক থাকে (মেজিরি )।
দাঁতের ধার গুলো ক্ষয়ে যায় (স্ট্যফিস )।
দাঁত হলদে হয়ে ভেঙে যায়( সিফিলি )।
এর রোগীদের পায়ের নখগুলো ঢেউখেলানো এবং ভঙ্গুর (এন্টিম-ক্র , গ্রাফাই )।
থুজার রোগীরা(বিশেষতঃ
রোগীনীগণ) প্রতারক –আত্মীয়দের সাথে, বাহিরের লোকদের সাথে খুব ভালো ব্যবহার করে কিন্তু বাড়ির লোকজনের সাথে অভদ্র, একগুঁয়ে, রাগী, জেদী, ঝগড়াটে , হিংসুটে এবং খিটখিটে মেজাজের পরিচয় দেয় ।
বর্ষায়, ঠান্ডায় এবং( দিবা বা ) রাত তিনটায় বৃদ্ধি (নেট্রাম-সা )।
গান-বাজনায় বৃদ্ধি (বিপরীত -ট্যারেন্টুলা হিস্)। সংগীতে তার কান্না আসে , কাঁদতে থাকে এবং কাঁপতে থাকে ।
ডুমুর সদৃশ আঁচিল বিশেষতঃ যৌনাঙ্গের চতুর্দিকে।
ঐ প্রদেশে মধুর মত মিষ্টি, ঝাঁঝাল গন্ধযুক্ত ঘাম ।
রোগী তার জননেন্দ্রিয়ের ঘামের গন্ধ শোঁকে ।
কোমল, স্পন্ঞ্জের মতো ,শিং এর মতো উন্নত বা ফুলকপির মতো উপমাংস /আঁচিল,প্রায়ই
রক্তস্রাবী (কষ্টি, নাই-এ )।
টিকা জনিত নানাবিধ রোগ সমূহঃ- শারীরিক ও মানসিক খর্বতা , অঙ্গপ্রতঙ্গে পক্ষাঘাত বা তা শুকিয়ে চিকন হয়ে যাওয়া (এন্টি-টা, কষ্টিক,ভ্যাক্সিনি,সাইলি)।
বাত জনিত নানাবিধ রোগ সমূহ, হাঁপানি, মহিলাদের ঋতুসমন্ধীয় সমস্যা ।
চোখ বন্ধ করলেই মাথা ঘুরে (ল্যাকে,থেরিডি)।
অর্জিত সাইকোটিক মায়াজমগ্রস্ত ব্যক্তিদের
নানাবিধ রোগ সমূহে থুজা অক্সিডেন্টালিস প্রায়শঃ কাজে লাগে (মেডো )।
ইহা তৃতীয় শ্রেণীর গরমকাতর ওষুধ এবং শীতকাতরও ,গরম পানিতে গোসল করতে
পছন্দ করে ।
থুজা অক্সিডেন্টালিস – সোরিক+, সাইকোটিক ++, সিফিলিটিক+ এবং ক্যন্সারিওজ মেডিসিন।
ঠান্ডা খাদ্য ও পানীয়, তিতা খাবার এবং লবণ বা লবণাক্ত খাবার পছন্দ করে (নেট্রাম-মি )।
পিপাসার্ত এবং পিপাসাহীন উভয় অবস্থাই বিদ্যমান থাকতে পারে ।
আলু, টাটকা মাছ ও মাংসে অনিচ্ছা ।
চা, কফি ও কাঁচা পেয়াজ সহ্য হয় না ।
থুজার খাবারের ইচ্ছা পরিবর্তনশীল ।
সাধারণতঃ গরমে উপশম ।
অস্থিরতা দুপুরের খাবারের পর উপশম ।
বাত ব্যথা – ঠান্ডায় , ঘর্ষণে এবং নাড়াচাড়ায় উপশম ।
আক্রান্ত পাশে শয়নে হাঁপানির উপশম ।
উপরের দিকে বা পিছনে তাকালে মাথা ব্যাথার
থুজা অক্সিডেন্টালিস উপশম ।
বর্ষাকালে ঠান্ডা ও ভেজা বাতাসে বৃদ্ধি
(নেট্রাম-সা )।
রৌদ্রে বৃদ্ধি ।
আমবশ্যায় ও পূর্ণিমাতে বৃদ্ধি ।
দিন বা রাত তিনটায় বৃদ্ধি ।
কথাবার্তায় হাঁপানির বৃদ্ধি ।
ধূমপানে বা মাদকদ্রব্যে বৃদ্ধি ।
চা পানে দাঁতের বেদনার বৃদ্ধি ।
থুজার মর্মবাণী হলোঃ
বদ্ধমূল ধারণা (Fixed Ideas) এবং গোপণ করার প্রবৃত্তি ।
সাইকোটিক ওষুধের মধ্যে বদ্ধমূল ধারণা একটি সাধারণ লক্ষণ । থুজাকে যেহেতু সাইকোটিক ওষুধের রাজা বলা হয় সে কারণে ইহাতে বদ্ধমূল ধারণার আধিক্য থাকা অস্বাভাবিক নয়।
থুজার রোগীর বদ্ধমূল ধারণার #বিশেষত্ব হলোঃ – তাকে কোন ভাবেই তার বদ্ধমূল ধারণা থেকে মুক্ত করা যায় না ।
থুজার রোগীরা পরিচিত /অপরিচিত এমনকি চিকিৎসকদের কাছেও মনের কথা খুলে বলে না -(তার অসততা, যৌন আবেগ গুলো- যদি প্রকাশ পায় !) তার বদ্ধমূল ধারণা পাছে তার সামাজিক মর্যাদার অবস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়!
বন্ধু-বান্ধব এবং সামাজিক পরিবেশ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয় ।
একা থাকতে পছন্দ (নেট্রাম-মি, সিপিয়া)।
মনের দরজায় তালা ঝুলিয়ে রাখে!
প্রচন্ড রক্ষণশীল মানসিকতা ।
এ কারণেই থুজা রোগীর বন্ধু-বান্ধব তেমন একটা থাকে না ।
ধীর-স্থির ভাবে -মনে হয় শব্দ খোঁজে খোঁজে চিকিৎসককে এক দু’কথায় তথ্য দেয়, অথচ কি যেন গোপণ করছে! সে চায় যেন চিকিৎসক তাঁর জ্ঞান দ্বারা বুঝে নিক!
চিকিৎসক এখানে প্রশয়ঃই বোকা বনে যান! ! !
থুজা রোগীর আরো কিছু বদ্ধমূল ধারণা সমূহঃ
থুজা রোগীর ধারণা – সে নিজে কোন অপশক্তি বা অপদবতার অধীন হয়ে পড়েছে (ল্যাকে )।
থুজার রোগী মনে করে তার পেটে কোন জীবন্ত জন্তু নড়াচড়া করছে (ক্রোকাস,নাক্স-মস,সালফ)।
উন্মাদ স্ত্রীলোক ভাবে সে গর্ভবতী হয়েছে । গর্ভের বাচ্চা তার পেটে লাথি মারছে । কাউকে কাছে আসতে বা স্পর্শ করতে দেয় না (আর্ণি, হিপার )।
শুচি বায়ুগ্রস্ত
রোগী ভাবে আত্মা যেন দেহ থেকে বিছিন্ন হয়েছে ।
রোগীর বদ্ধমূল ধারণা তার পিছন পিছন বা তার পাশাপাশি কেউ একজন হাঁটছে , ভ্রান্ত ধারণা (ক্যাল্কে-কা, ক্রোটেলাস-ক্যাস,পেট্রো,সাইলি )।
মেডো রোগীরও এ ভ্রান্ত বিশ্বাস আছে তবে তা ভয় মিশ্রিত, থুজার রোগীতে ভয় নেই ।
রোগীর ভ্রান্ত বিশ্বাস তার পাশে কোন অপরিচিত লোক শুয়ে আছে (পালস )।
রোগীর বদ্ধমূল ধারণা তার পা গুলো কাঠের বা কাঁচের তৈরি অথবা ভঙ্গুর যে কোন সময় ভেঙে যেতে পারে ।
থুজা রোগীর বদ্ধমূল ধারণা তার দেহ -দু’টি ভাগে বিভক্ত ।
ল্যাক-ক্যানের রোগীর ভ্রান্ত ধারণা তার দেহ টুকরো টুকরো হয়ে যাবে ।
রোগী ঘুমুতে গেলে ঘাম, জাগলে ঘাম থাকে না ( কোনিয়াম ও স্যাম্বুকাসের বিপরীত )।
টক বা দুগন্ধযুক্ত ঘাম ,আঠালো ।
অনিদ্রা বা স্বপ্নবহুল নিদ্রা (ক্যান-ইন্ডিকা)। স্বপ্নে মৃত মানুষ দেখে, উড়ে যাওয়া বা পরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে।
থুজা রোগীর ভ্রান্ত ধারণা, তার দেহ বাতাসের চেয়েও হালকা । উঁচু স্থান থেকে নীচে পড়ে যাওয়ার স্বপ্ন -তার সামাজিক মর্যাদার উচ্চ অবস্থান থেকে নিম্ন অবস্থানে পতনের ভয়ই তাকে তাড়িত করে ।
নিজেকে গুটিয়ে রাখে নিজের মাঝেই!
এ গুলোও থুজার অতিরিক্ত সন্দেহ এবং #বদ্ধমূল ধারণারই বহিঃপ্রকাশ ।
কোষ্ঠবদ্ধতা -শক্ত মল আংশিক বের হয়ে আবার ভিতরে ঢুকে যায়
(সাইলি, স্যানিকি, ওপিয়াম )।
He or she is very slow to trust others. …
You can never know what is their mind.
For this reason, the symptomatology in THUJA is usually UNCLEAR. …
The full image is never clear because the patient never up enough. (Viva).
যত্নসহকারে রোগীলিপি লিপিবদ্ধ করার পরও যদি মনে হয়- কোথাও যেন অপূর্ণতা রয়ে গেছে ‘কি যেন কি নেই ‘ তবে একবার #থুজার কথা আমাদের ভাবা উচিত ।
অনেক মনীষীদের ভাষ্য হলঃ #থুজা সাপে কাটা, জীবজন্তু থেকে বিষাক্ততা , স্মলপক্স ,অতিরিক্ত টীকা জনিত নানাবিধ সমস্যা ,গর্ভপাত প্রবনতা বিশেষতঃ গণোরিয়ার ইতিহাস থাকলে অবশ্যই ব্যবহার্য ।
তবে আমাদের মত হলো -অবশ্যই থুজার #মর্মবাণী #বদ্ধমূল ধারণাকে ভূলে যাওয়া চলবে না ।a
টক, মিষ্টি, চর্বি, মাখন , মদ, বিয়ার, ফুল কপি, বাধা কপি, পেঁয়াজ ও রসুন থুজার ক্রিয়া নষ্ট করে ।
থুজা অক্সিডেন্টালিস এমন একটি পলিক্যাস্ট ওষুধ – শিশুকাল থেকে বৃদ্ধাবস্থা পর্যন্ত , রোগ প্রকৃতির সকল পর্যায়েই কাজ করে । মনোস্তরের আবেগ, অনুভূতির বিশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সামান্য সর্দিজ অবস্থা, আঁচিল, অর্বুদ,পলিপি, পাইলস থেকে শুরু করে ম্যালিগন্যাট টিউমার বা ক্যান্সারেও উপযোগী । রোগ যাই হোক, যে অঙ্গেই হোক না কেন- আমাদের #থুজার মর্মবাণী স্মরণ রাখতে হবে ।
তাহলে থুজা অক্সিডেন্টালিস আমাদেরকে কখনো নিরাশ করবে না ।
বিস্তৃতির তুলনায় সংক্ষিপ্তকারে এবং কিছুটা তাড়াহুড়ায় মূল্যবান লক্ষণ বাদ পড়ে থাকতে পারে এবং মুদ্রণ ত্রুটিও হতে পারে ।
প্রিয় পাঠকবৃন্দ নিজ গুণে ক্ষমা করবেন । a
আমার এ লেখাটি যদি কারো সামান্যতমও
উপকারে আসে, আমার শ্রম সার্থক মনে করবো ।
পাঠকের উপদেশ, পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করা হবে।
সবার জন্য আন্তরিক শুভ কামনা অবিরত ।
মহাত্মা স্যামুয়েল হানেমানের নশ্বর পৃথিবীর তিরোধান দিবসে – তাঁকেই লেখাটি উৎসর্গ করলাম ।
মহাত্মা হানেমানের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে এখানেই শেষ করছি ।