Sepia কি?
(Sepia) সিপিয়া একটি ঔষধটি প্রানীজ ঔষধ।
আমি দেখতে কেমন —
সিপিয়া হলো কাটল ফিশ নামক এক প্রকার মাছ দিয়ে তৈরি করা হয়।
কাটল মাছের চেহারাটা লম্বাটে ধরনের।এর গড়নও লম্বাটে ধরনের।
কাটল্ ফিশের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হল এরা কখনো সন্তান প্রতিপালন করে না।
১. আমি কেমন প্রকৃতির…….
২.আমি সমুদ্রে দলবদ্ধভাবে কখনোই ঘোরাঘুরি করি না।
৩.আমি স্বাধীন ভাবে একা একা ঘুরতে পছন্দ করি।
আমার সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হল আমি কখনোই সন্তান প্রতিপালন করতে পারি না।
অর্থাৎ আমি নিজের ডিমফোটা বাচ্চা থেকে সবসময় দূরে দূরে থাকি।
আমি পানির ভিতরে বা উপরে হোক না কেন আমার পাখনা স্থির রাখতে পারি না।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো, আমি বেশিক্ষণ এক জায়গায় স্থির হয়ে থাকতে পারি না।
আমার কিছু মূল্যবান কথা বলতে চাই
আমি পূর্বে বড় স্বাস্হ্যবান ছিলাম কিন্তু বর্তমানে সংসারের মোহে পড়ে একে বারে রোগাটে হয়ে গেছি।মানে পুরাই মেদহীন।
আমার সব সময় শরীলে জীর্নশীর্ন ভাব থাকে।
আগে যাদের বেশি ভালবাসতাম তাদের বড়ই অচেনা লাগে।
সব কিছু পেয়েছি কিন্তু আমার স্বপ্ন মরুচিকার মতো।
আমার স্বামী আমাকে অনেক ভালবাসে কিন্তু আমি তার মনের মতো হতে পারলাম না।এই মানসিকতায় মহিলাদের জন্য উপকারী।
এই রোগীর, মানুষের মধ্যে থাকতে অসহ্য লাগে কিন্তু একা থাকতে আবার ভয় করে। রোগী প্রতিবাদ সহ্য করতে পারে না।
রোগীর মনে হয় জরায়ু নিচ থেকে বের হয়ে যাবে।
নিচের দিকে ঠেলা মারা বেদনা হয়।
জরায়ু শুষ্ক থাকে বিধায় স্বামী সহবাসে কষ্ট হয়।
মনে রাখবেন, সিপিয়ার রোগী বিপরীত লিঙ্গের লোককে আকর্ষণ করার চেষ্টা করে।
বিপরীত লিঙ্গের লোককে আকর্ষণ করার জন্য যাহা কিছু দরকার তাহাই চেষ্টা করে থাকে।
এমনকি নিজের মতের বিরুদ্ধে হলেও বিপরীত লিঙ্গের লোকের কথা মেনে চলার চেষ্টা করে।
সিপিয়া রোগী খুবই দূর্বল হয়ে থাকে।
অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে থাকে।
বিশেষতঃ হাটু চেপে বসে অনেকক্ষণ কাজ করলে বেশি দুর্বল হয়ে থাকে।
সিপিয়ার চলাফেরা অতি স্লো | এই ঔষধের রোগী ভারী কাজ করতে পারে না, বললেই চলে।
সিপিয়ার রোগীর সাংসারিক কাজে মন থাকে না কিন্তু বাহিরের কাজ ঠিকমতো করে থাকে।
বাজার করা,কারেন্ট বিল, পানি বিল দেওয়া ইত্যাদি।রোগীর চোখ অশ্রুপূর্ণ থাকে | রোগী লক্ষণ বর্ণনা করিতে গেলে কেঁদে ফেলে।
রোগীর চোখ অশ্রুপূর্ণ থাকে | রোগী লক্ষণ বর্ণনা করিতে গেলে কেঁদে ফেলে।
বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ লক্ষন হলো–সকালে মুখ ধোয়ার সময় বমি বমি ভাব দেখা যায়।
সিপিয়ার রোগীর চেহারা দেখিলে প্রকৃত বয়স অপেক্ষা বেশি বয়স বলে মনে হয়ে থাকে।
মনে রাখবেন, সিপিয়ার রোগীর গোসলে ইচ্ছা থাকে কিন্তু গোসল সহ্য হয় না।
সিপিয়া রোগীর, ঋতুস্রাবকালে পিপাসা বেশি হয়,ঋতুস্রাবকালে অত্যধিক চুল ওঠে।বিশেষ করে বাচ্চা হওয়ার পর যে ঋতুস্রাব হয় ঐ সময় অত্যধিক চুল ওঠে।
ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত কাশি হয়
মাসিক শুরু তো কাশি শুরু,মাসিক শেষ তো কাশি শেষ।
পোশাকের দিক হতে কালো পোশাক পছন্দ করে।
যে কোন কালারের পোশাক পড়লেও কালো রংয়ের প্রাধান্য থাকে।
সাদার উপর কালো স্টেপ, অথবা হলুদের সাথে কালে মিশেল ইত্যাদি।
সিপিয়াতে প্রচুর পরিমানে সাদা স্রাব থাকে | বলতে গেলে সবসময় সাদাস্রাব কম বেশি লেগেই থাকে, সাথে জরায়ুতে চুলকানি থাকে।
ঘামের ক্ষেত্রে, মুখমন্ডল ছাড়া সারা শরীর ঘামে থাকে।
কথা বলতে গেলে, সাধারণত না কেঁদে কষ্টের কথা বলতে পারে না।
সিপিয়া রোগীর, খাওয়ার পরেও, পেটটা খালি খালি বোধ হয়ে থাকে |
সিপিয়া একটি এন্টি সোরিক, এন্টি সাইকোটিক ঔষধ।
ইহা সাধারনত বামপাশে ভালো কাজ করে।
ইহা একটি শীতকাতর ঔষধ।
আসুন দেখি, সিপিয়ার রোগী কিভাবে চেনা যায়।
যে সকল মহিলা রোগী লম্বা ও পাতলা হয়ে থাকে।
কাঁধ হতে কোমর পর্যন্ত সরল হয়ে থাকে।
পুরুষের মতো গঠন হয়ে থাকে।
কোমরে কোন ভাঁজ থাকে না বললেই চলে।
নিতম্ব পুরুষের মত সুগঠিত ও অপ্রশস্ত থাকে।
যখন হাঁটবে তখন নিতম্বতে কোন ছন্দ থাকে না এই সকল রোগীরাই সিপিয়ার রোগী হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।
সিপিয়ার রোগী পিছন দিক থেকে দেখলে পুরুষের মতো মনে হয়।
মনে রাখবেন, সিপিয়া রোগীর নিকট মাতৃত্ব একটা বোঝা মনে হয়ে থাকে।
সিপিয়ার রোগী মুলতঃ লাজুক টাইপের হয়ে থাকে।
এরা চিপিয়া চিপিয়া কথা বলে থাকে।
তবে, সিপিয়ায়ও মাঝে মাঝে একগুঁয়ে ও উত্তেজিত ভাবও দেখা যায় |
সিপিয়ার রোগীর স্বামী, সন্তান, সংসারের প্রতি আকর্ষণ কমে যায়।
সিপিয়ার রোগীর স্বামী, সন্তান, সংসারের প্রতি আকর্ষণ কমে যায়।
সেকারনে,মেন্টালি ডিপ্রেশনে ভোগে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
সিপিয়ার রোগিনীর নিজের অজান্তেই কান্না পায়
সাধারণত বজ্রপাতে মহিলারা একটু ভয় পেয়ে থাকে।
কিন্তু সিপিয়ার রোগী বজ্রপাতে আনন্দ পায় | তবে, ঝড় বৃষ্টিতে সকল রোগ লক্ষন বৃদ্ধি পায়
কিন্তু সিপিয়ার রোগী বজ্রপাতে আনন্দ পায় | তবে, ঝড় বৃষ্টিতে সকল রোগ লক্ষন বৃদ্ধি পায়।
সিপিয়ার রোগী রোগের কারণে সুইসাইড করতে চায়।
অতিরিক্ত তামাক খাওয়ার জন্য যে মানসিক যে কুফল হয় সিপিয়া সেই কুফল দূর করতে উপযোগী।
সিপিয়ার রোগী ভবিষ্যতের ভয় নিয়ে টেনশন বেশি করে থাকে।
কি খাব, কি করবো,তাছাড়া, ভূতের ভয় , কল্পনায় মৃত ব্যক্তির ছবি দেখে ভয় ইত্যাদিও থাকে।
প্রেমের সময় কত প্রতিশ্রুতি থাকে,পার্কে বসে বাদাম খায় | আর বিশাল বিশাল চিন্তা করে।ভবিষৎত জীবন নিয়ে কল্পনার হাওয়ার ওড়ে।কিন্তু, প্রেমের বিয়ের পর বাস্তব জীবনে এসে হতাশ হয়ে পড়েন।
যে সকল রোগীর মাথার চামড়া ভেজাভেজা এবং আঠালো বা জট বাঁধার মতো হলে ঐ সকল রোগীর খুসকির জন্য সিপিয়া উপকারী।
যে সকল রোগীর মাথার চামড়া ভেজাভেজা এবং আঠালো বা জট বাঁধার মতো হলে ঐ সকল রোগীর খুসকির জন্য সিপিয়া উপকারী।
মনে রাখবেন, সিপিয়ার রোগীনির, নিচের ঠোট মোটা থাকে।অনেকের ক্ষেত্রে, নিচের ঠোট সর্ব ঋতুতেই ফাটা ফাটা থাকে।
সিপিয়ার রোগীরা, গলার টাই, মাফলার , জামার গলায় বোতাম বা মহিলারা কামিজ পড়লে টাইট গলা পড়তে পারে না, সর্বদা উহা ঢিলা করিয়া পড়ে থাকে।
সাধারণত সিপিয়ার রোগীর জিহ্বা অপরিস্কার থাকে।
তবে, মনে রাখবেন
প্রতিবার ঋতুস্রাব চলাকালে জিহ্বা পরিস্কার হয়ে থাকে আবার, ঋতুস্রাব বন্ধ হইলেই উহা অপরিস্কার হয়ে যায়।
১- সিপিয়ার রোগীনি, টক ঝাল খুবই পছন্দ করে।
২- সিপিয়ার রোগীর দুধ খেলে ডায়রিয়া হয় কিন্তু অন্যসময়ে কোষ্ঠবদ্ধতা থাকে।
৩- সিপিয়ার রোগীর দুধ খেলে ডায়রিয়া হয় কিন্তু অন্যসময়ে কোষ্ঠবদ্ধতা থাকে।
৪- সিপিয়ার পেটে ব্যথা সবসময় পেটের সামনে থেকে পিছনের দিকে যায়।মানে পেট হতে কোমরে,মাসিকের সময় হোক বা অন্য যে কোন সময় হোক না কেন এই রকম পেটে ব্যাথায় সিপিয়া খুবই উপকারী।
৫- সিপিয়ার রোগীর, খাবারের কথা চিন্তা করলেই পাকস্থলীতে শূনত্যাবোধ হয়ে থাকে
মনে রাখবেন, ঋতুস্রাব সময়ের কিছুদিন আগে বা কিছুদিন পরে হোক, ঋতুস্রাবে স্বল্প হোক বা বেশি হোক সর্বক্ষেত্রেই সিপিয়া উপযোগী।
সিপিয়ার রোগীর, পেটটি মনে হয় দশ মাসের গর্ভবতী | নিচের পেট অনেক উঁচু থাকে।সিপিয়ার রোগীর, পেটটি মনে হয় দশ মাসের গর্ভবতী | নিচের পেট অনেক উঁচু থাকে।
Sepia রোগীর ঘনঘন গর্ভপাত হয়ে থাকে
অকাল প্রসবের প্রবণতা দূর করার ক্ষেত্রেও সিপিয়া খুবই উপকারী।
সাধারনত ৫ম হইতে ৭ম মাসে গর্ভস্রাব হইবার প্রবনতা থাকলে সিপিয়া ভালো কাজ করে।
গর্ভাবস্থায় দুধের মতো সাদা বমি সিপিয়া ছাড়া অন্য কোন ঔষধে নাই বললেই চলে।
অতিরিক্ত স্বামী সহবাস, অতিরিক্ত ঋতুস্রাব, অতিশয় রক্তক্ষয়, অতিরিক্ত স্তন্যদান হেতু স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে গেলেও সিপিয়া চিন্তা করা যেতে পারে |
সিপিয়ার পুরুষদের লিঙ্গমুন্ডের মাথায় গ্লীট আটকে যায় এই অবস্থায় সিপিয়া খুবই মূল্যবান ঔষধ।
মাসিক শুরু তো কাশি শুরু,
মাসিক শেষ তো কাশি শেষ।
১- সিপিয়ার রোগীর, জরায়ুর মুখের উপরদিকে তীব্র সূচ ফোটানো বেদনা থাকে।
২- সিপিয়ার রোগীর, মলত্যাগকালে এবং মলত্যাগের পর অনেকক্ষণ পর্যন্ত মলদ্বারে যন্ত্রণা থাকে।মলদ্বারে একটা গোলা থাকার ন্যায় অনুভূতি থাকে।
৩- সিপিয়ার রোগী বাম কাতে শুলে হার্টে ব্যাথা বা দম বন্ধ ভাব হয় বা আড়ষ্টতা দেখা যায় | সেকারনে ডান কাতে শুলে আারামবোধ থাকে |
যে সকল রোগীনি, হোমিওপ্যাথি ঔষধ দ্বারা ক্ষতি হয়েছে তাদের পুনরায় সুচিকিৎসার উপযোগী করে তুলতে সিপিয়া তুলনাহীন।
এবার, তুলনা
বিমর্ষতা ও ক্রন্দন স্বভাব—
Sepia, Nat Mur, Pulsatilla
এতে আছে।
Sepia—সিপিয়ায় বিষন্নতার সাথে অবাধ্যতা, কাজকর্ম ও নিজ পরিবারের প্রতি উদাসীনতা থাকে।
তাছাড়া, সিপিয়াতে স্বান্তনায় বৃদ্ধি থাকে না।
Nat Mur– নেট্রাম মিউরেও বিষন্নতার সাথে অবাধ্যতা, কাজকর্ম ও নিজ পরিবারের প্রতি উদাসীনতা থাকে | তবে,
নেট্রাম মিউর- এ স্বান্তনায় বৃদ্ধি থাকে।
পালসেটিলার বিষন্নতার সাথেও মধুর ও বিনয়ী স্বভাব থাকে।
জ্বালা ও ঠান্ডাপ্রিয়তা —
Sepia, Phosphorus ও Apis Mel।
Sepia– সম্পূর্ণ শরীরে ঠান্ডা চায়।
Phosphorus – মাথায় ও পেটে ঠান্ডা চায়।
চর্মরোগে —
Sepia, Sulphur
Sepia– চুলকায়, চুলকানোর পর জ্বালা করে
**বিঃদ্রঃ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোন ওষুধ গ্রহণ করবেন না**