মেছতা একটি প্রচলিত সমস্যা। মেছতার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে সূর্যের আলোর প্রভাব, বংশগত কারণ, গর্ভধারণ, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, ডিম্বাশয়ের সমস্যা, হরমোনজনিত সমস্যা, যকৃতের সমস্যা, অপুষ্টি ও কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মেছতার জন্য দায়ী হতে পারে।
মেছতা কেন হয়
সুর্য্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি শরীরে মেলানিন বাড়িয়ে দেয়। তাই বেশিক্ষণ রোদে থাকলে শরীরের কিছু কিছু অংশের ত্বকে মেলানিন বেড়ে যায় যার ফলে
সেসব জায়গার রঙ গাঢ় হয়ে যায়। যা দেখতে বাদামি ছোপ ছোপ দাগের মতো মনে হয়। যাদের গায়ের রঙ ফর্সা, চুল একটু লালচে তাদের জেনেটিক্যালি মেছতা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
মেছতা হলে করনিও
১) মেছতার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া গেলে তার সমাধান করতে হবে।
যেমন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে সে ওষুধ বন্ধ করা যায় কি না, তা নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। হরমোনজনিত সমস্যার চিকিৎসা করতে হবে
২)সরাসরি সূর্যের আলোর প্রভাব থেকে ত্বককে মুক্ত রাখতে হবে। রোদে গেলে ত্বক ঢেকে রাখতে হবে।
৩)চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিছু ক্রিম (যেমন হাইড্রোকুইনন) ব্যবহার করা যায়।
এটি কোন স্থানে হয় : সাধারণত গালের ওপরের অংশেই এটা বেশি হয়ে থাকে।
তবে চোয়ালে, নাকের উপরে ও কপালেও হতে দেখা যায়।
এটি কাদের বেশি হয়:
মেছতা নারীদের বেশি হয়। গর্ভাবস্থায় হরমোন পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় দেখা যায়।
তা ছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, সূর্যরশ্মি, ইস্ট্রোজেন হরমোন গ্রহণ,
কিছু ওষুধ যেমন- Psoralen, Arsenic, Antiepileptic, Phenothiazine ও কিছু হরমোন গ্রন্থির রোগ
যেমন- adisons disease, Hyperthr-oidism মেছতা তৈরিতে অনেকটা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
গর্ভকালীন অবস্থায় মেছতার চিকিৎসা নেওয়ার দরকার নেই। সন্তান প্রসবের পর ছয় মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
মেছতা হলে অনেকে হমিও চিকিৎসা নেয়, অনেকে রঙ ফরসাকারি ক্রিম ইউস করেন,
এতে হিতেবিপরীত হতে পারে, এমন যে কোন সমস্যায় স্কিন ডাঃ এর পরামর্শ নিন।
মেছতার চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ। তাই তাড়াহুড়া না করে ধৈর্য ধরে চিকিৎসা নিন।