এনাকার্ডিয়াম- আসুন দেখি মাইন্ড সিমটম গুলো এবং চেষ্টা করব ব্যাখ্যা করার।
হঠাৎ করে রোগীর স্মৃতিশক্তি লোপ।
কোন কিছু মনে না করতে পারার জন্য রোগী খুব কষ্ট অনুভব করে বা কষ্ট ভোগ করে।
সবকিছু তো গন্ডগোল হয়ে যায়,কাজের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে।
রোগীর মধ্যে একটু একটু করে হিংসা প্রভৃতি দেখা দেয় এবং কুকর্মে আসক্তি চলে আসে।
রোগী কটু কথা বলতে সংকোচ বোধ করে না
সব সময় অন্যমনষ্ক, সামান্য কারণেই অসন্তুষ্ট হয়।
নিষ্ঠুর অমানবিক চরিত্রের লোক।
গালাগাল দেয়,অভিশাপ দেয়।
রোগী মনে করে তার দুটি ইচ্ছাশক্তি আছে,একটি তাকে আদেশ করছে অণ্যটি তাকে নিবৃত করছে।
রোগীর ভিতর এক অদ্ভুত লক্ষণ প্রকাশ পায় ঠিক এমনটা যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সে তাচ্ছিল্য বা উপহাস করে অর্থাৎ হাসে আবার যেটা হাস্যকর বিষয় সে বিষয়ে খুব গাম্ভীর্য দেখায় বা গম্ভীর হয়ে যায়।
প্রতিবাদ সহ্য করতে পারে না তাই রোগী সামান্য কারণেই রেগে যায় এবং দ্রুত কথা বলে।
আসুন এবার একটু ব্যাখ্যা করা যায়
এনাকার্ডিয়াম এর মুল কথা মন সংযোগের অভাব
এবং সেইসাথে আত্মবিশ্বাসের অভাব।
এনাকার্ডিয়াম এর রোগী স্মৃতি শক্তি হীনতা কিছুই মনে রাখতে পারে না তাই বলে সে ব্যারাইটা কার্ব এর মতো নির্বোধ নয়।
অতিরিক্ত মানসিক পরিশ্রমের ফলে অবসাদ এবং সেই থেকেই স্মৃতিভ্রম।
সাল তারিখ নাম-ঠিকানা বন্ধু বর্গের নাম হঠাৎ করে সে মনে রাখতে পারে না কেমন যেন একটা বোকা ধরনের ভাব প্রকাশ থাকে ।
এনাকার্ডিয়াম এর রোগীর মধ্যে প্রায়ই দ্বিধাদ্বন্দ্ব লক্ষ করা যায় যেমন একটা ভাল কাজ এবং একটা খারাপ কাজ। ভালো কাজ তাকে ভালো দিকে প্রভাবিত করে এবং খারাপ কাজ তাকে খারাপ দিকে প্রভাবিত করে।
(মনে রাখবেন জগৎ-সংসারে সব সময় ভালোর থেকে খারাপের প্রভাবটাই বেশি থাকে অনুরূপভাবে এনাকার্ডিয়াম এর রোগীর মধ্যে ভালো কাজের থেকে খারাপ কাজের দিকটাই বেশি লক্ষনীয়)
এনাকার্ডিয়াম এর মাইন সিমটম একটি বিশেষ লক্ষণ হলো ভ্রান্ত ধারণা।
রোগী মনে করে কেউ তোমার নাম ধরে ডাকছে যা একটি শ্রুতিভ্রম।
সে মনে করে তার স্ত্রী তার স্ত্রী নয়, তার স্বামী তার স্বামী নয়।
এনাকার্ডিয়াম মনে করে সবি মায়াময় জগতের কোন কিছুই সত্য নয়। একজনকে দুজন ও মনে করে।
সে মনে করে দেহধারী একজন আর অন্যজন মন ধারী।
হয়তো একজন ডানদিকে আছে আর একজন বাম দিকে অবস্থান করছে।
এনাকার্ডিয়াম কখনো কখনো তার নিজের সন্তানকে চিনতে পারে আবার চিনতে পারে না ভুলে যায় যে কার সন্তান।
অর্থাৎ এনাকার্ডিয়াম এর মধ্যে দ্বৈত সত্তা ও বিদ্যমান।
এনাকার্ডিয়াম এর রোগী কখনো হিংসাপরায়ণ হয়ে ওঠে অভিশাপ দিতে থাকে।
এনাকার্ডিয়াম এর রোগী যখন হেটে চলে তখন সে পেছনে তাকায় এটা ভেবে যে কেউ তার পিছনে মনে হয় আসছে এমন লক্ষণ অনেক সাইকোটিক ধর্মীয় মেডিসিন এর মধ্যেও দেখা যায়,
(মেডোরিনাম,থুজা অক্সিডেন্টাল, নেট্রাম সালফ)