কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীর লক্ষণে উপর ঔষধ নির্বাচন পদ্ধতি এক হল Nux vomica দিনরাতের বেশীর ভাগ সময় শুয়েবসে কাটায়, ভয়ঙ্কর বদমেজাজী, শীতকাতর, কথার বিরোধীতা সহ্য করতে পারে না । বিশেষত যারা দীর্ঘদিন পায়খানা নরম করার এলোপ্যাথিক ঔষধ খেয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশী প্রযোজ্যপাইলসের রোগীদেরকে সকালে সালফার এবং সন্ধ্যায় নাক্স ভমিকা- এভাবে-
Hydrastis can হলদে রঙের পায়খানা এবং উপরের পেটে খালিখালি ভাব।
Opium-
পায়খানার বেগই হয় । পায়খানা হয় ছাগলের লাদির মতো ছোট ছোট, গোল গোল, কালো, শক্ত শক্ত।
যদি আঙুল দিয়ে কারো পায়খানা বের করতে হয়,
Alumina-
পায়খানা নরম কিন্তু বের করতে কষ্ট হয়। কখনও পায়খানার বেগ থাকে আবার নাও থাকতে পারে। শিশুদের মুখ শুকিয়ে থাকে, পায়খানার রাসতা লাল হয়ে যায়, ব্যথায় চীৎকার করতে থাকে, পায়খানা করার সময় বসার সিট অথবা সামনে যা থাকে তাকে খুব শক্ত করে ধরে এবং পায়খানার সময় রক্ত পড়ে।
Bryonia album-
পায়খানা হবে বড় বড় লম্বা লম্বা সাইজে, শুকনা, শক্ত এবং দেখতে পোড়াপোড়া। , শিশুদের, বদমেজাজী লোকদের এবং বাতের রোগীদের কোষ্টকাঠিন্যে এটি সবচেয়ে ভালো কাজ করে। যদি গলা শুকিয়ে থাকে এবং প্রচুর পানি পিপাসা থাকে,
Ambra grisea-
যে সব শিশু খুবই লাজুক, কেউ সামনে থাকলে পায়খানা করতে পারে না, তাদের কোষ্টকাঠিন্যে
Arnica montana-
ব্যথা পাওয়া বা আঘাত পাওয়ার পরে কোষ্টকাঠিন্য দেখা দিলে আর্নিকা খেতে হবে।-
Conium-
শক্ত পায়খানা ত্যাগ করার পর যদি কেউ দুর্বল-ক্লানত হয়ে একেবারে বিছানায় শুয়ে পড়তে বাধ্য হয়।-
Collinsonia can পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা এবং পাইলস থাকে।-
Caobo anima রোগী মনে করে পায়খানা হবে কিন্তু পায়খানা করতে গেলে শুধু বাতাস বের হয়।-
কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীর লক্ষণে উপর ঔষধ নির্বাচন পদ্ধতি হল
Graphites অলসতা, দিনদিন কেবল মোটা হওয়া, মাসিকের রক্তক্ষরণ খুবই কম হওয়া, চর্মরোগ বেশী হওয়া এবং তা থেকে মধুর মতো আঠালো তরল পদার্থ বের হওয়া, ঘনঘন মাথাব্যথা হওয়া, নাক থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া, আলো অসহ্য লাগা ইত্যাদি। উপরের লক্ষণগুলোর দু’তিনটিও যদি কোন রোগীর মধ্যে থাকে, তবে গ্র্যাফাইটিস তার কোষ্টকাঠিন্য সারিয়ে দেবে।
Silicea-
যদি এমন হয় যে পায়খানা অর্ধেকটা বের হওয়ার পরে আবার পুণরায় ভিতরে ঢুকে যায়, তবে এই ধরণের কোষ্টকাঠিন্যে ,শরীর বা মনের জোর কমে যাওয়া, আঙুলের মাথায় শুকনা শুকনা লাগা, আলো অসহ্য লাগা, ঘনঘন মাথা ব্যথা হওয়া, চোখ থেকে পানি পড়া, মুখের স্বাদ নষ্ট হওয়া, মাংস্তচর্বি জাতীয় খাবার অপছন্দ করা, আঙুলের মাথা অথবা গলায় আলপিন দিয়ে খোচা দেওয়ার মতো ব্যথা, পাতলা চুল, অপুষ্টি ইত্যাদি।
Lycopodium clav-
রোগের মাত্রা বিকাল ৪-৮টার সময় বৃদ্ধি পায়, ,এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের সারা বৎসর প্রস্রাবের
বা হজমের সমস্যা লেগেই থাকে, এদের দেখতে তাদের বয়সের চাইতেও বেশী বয়ষ্ক মনে হয়, স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ কিন্তু ব্রেন খুব ভালো, এরা খুবই সেনসিটিভ
Lac deploratum-
পায়খানা করার সময় প্রসব ব্যথ্যার মতো মারাত্মক ব্যথ্যা হওয়া, পায়খানার রাস্তায় ছিঁড়ে যায়, পায়খানা হয় শুকনো এবং বড় বড় সাইজে
বেশি বেশি শাক সবজি খেলে ,নিয়মিত ব্যাম বা পরিশ্রম করতে হবে,পরিমান মত পানি পান করতে হবে
বিঃদ্রঃ- ডাক্তারের পরার্মশ ছাড়া ঔষধ খাবেন না।ডাক্তারের পরার্মশ ছাড়া ঔষধ খেয়ে বিপদ ঢেকে আনবেনা।অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন, সুস্থ থাকুন।(এই সকল পোষ্টগুলো মুলত হোমিওপ্যাথিক ডাঃ এবং হোমিওপ্যাথিক ছাত্রদের সুবিধার্থে দেয়া হয়।)