পিকিউলিয়ার লক্ষণে হোমিওপ্যাথির ব্যাবহার কিভাবে করবেন?
পিকিউলিয়ার লক্ষণে হোমিওপ্যাথির ব্যাবহার নিয়ম
কোবাল্টাম
পুরুষদের সেমিনাল ডিসচার্জের পরেই সাংঘাতিক পিঠে বা কোমরে ব্যথা হবেই, তা সে হস্তমৈথুন বা স্ত্রী-সহবাস যেভাবেই হোক,
( এই লক্ষনে একটি বহুদিনের পিঠে ব্যথার রোগীকে মুম্বাইয়ের ডাঃ পাঠক সারিয়েছিলেন) ।
পিকিউলিয়ার লক্ষণে হোমিওপ্যাথির ঔষধের ব্যাবহার অন্যতম ইন্ডিকা—
প্রত্যেকবার মাসিক হওয়ার সময় খুবই দূর্বলতা বোধ করে, প্যারালাইসিসের মতন অবস্থা হয় — যেন চলার শক্তি থাকে না,
ট্রেন বা বাসে জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে চলমান দৃশ্য দেখে মাথা ঘুরে যায়,
ঠিকমতন ঘুম না হলে তড়কা হয়,
রোমান্টিক, কল্পনাপ্রিয়
কোনিয়াম ম্যাকুলেটাম
শোওয়া থেকে উঠতে গেলেই মাথা ঘোরে,
চোখ বন্ধ করলেই মাথা ঘোরে,
উঁচু জায়গায় বসে পা দুটি ঝুলিয়ে রাখতে পারলে পায়ের ব্যথা কমে, এইজন্য শুয়েও রোগী পা দুইটি কিছুক্ষন উপরদিকে তুলে রাখতে চায়,
( কেন্ট রেপার্টরি— পৃষ্ঠা–১০৬৩,
Hang down, letting limb amel)
পুরুষদের মনের মধ্যে সামান্য যৌন উত্তেজনাতেই অতি দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায়—-উত্তেজক সিনেমার দৃশ্য দেখার সময়, মহিলাদের সাথে কথা বলার সময়, মহিলাদের হাত ধরলে বা শরীর স্পর্শ করলে, স্ত্রীকে সামান্য আলিঙ্গন করতে না করতেই দ্রুত স্খলন,
কোরালিয়াম রুব্রাম
কাশির ধমক একটানা চলতেই থাকে, থামার যেন কোন লক্ষনই থাকে না,
ক্রোকাস স্যাটাইভাস
কালো দড়ির মতন নাকের মিউকাস ডিসচার্জ বা মাসিক স্রাব, ভীষণ আঠালো– ঝুলে ঝুলে ঝুলে বেরুতে থাকে ,
পেটের মধ্যে যেন জীবন্ত কিছু ঘোরাঘুরি করছে এইরকম মনে করে ( থুজা) ,
ক্রোটেলাস ক্যাসকেভেলা
আমবাত শরীরের এক বা নির্দিষ্ট জায়গায় ঝাঁক ধরে ওঠে, প্রচন্ড জ্বালা করে,
ক্রোটেলাস হরিডাস
ঘা, ফোঁড়া, কার্বাঙ্কল, ইত্যাদিতে যখন সাদা পুঁজের পরিবর্তে কালচে পাতলা রক্ত বেরুতে থাকে,
ক্রোটোন টিগ
হাঁস যেমন যখন তখন যেমন ফচাৎ ফচাৎ করে অল্প পায়খানা করে, ছোট ছোট বাচ্চারা সেইরকম ফচাৎ ফচাৎ করে যেখানে সেখানে অল্প অল্প করে পায়খানা করে, বিশেষ করে কিছু খাওয়ার পরেই,
পিকিউলিয়ার লক্ষণে হোমিওপ্যাথির ঔষধের ব্যাবহার অন্যতম ফোস্কা পড়ার মতন চুলকানি ( Vesicular eruptios)
ভীষণ চুলকায়, ভীষণ ব্যথা, বিশেষ করে পুরুষদের পুরুষাঙ্গ ও স্ক্রোটামের চারপাশে হলে দারুন কাজ,
মা তার বাচ্চাকে যে ব্রেস্টের দুধ খাওয়ায় সেই ব্রেস্ট থেকে ব্যথা আরম্ভ হয়ে সেইদিকের পিঠের স্কাকাপুলার দিকে যায়,
( বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় মায়ের দাঁতের ব্যথা— চায়না,
( ব্যথা যে কারুরই হোক না কেন উপর পেটের ডানদিক থেকে আরম্ভ হয়ে ডানদিকের স্কাপুলার দিকে যায় — চেলিডোনিয়াম, ক্যালি কার্ব, ক্যালি বাই, লাইকো, ম্যাগ মিউর, মার্ক সল, নাকস ভম,)
কেন্ট রেপার্টরী— পৃষ্ঠা ৫৬৩, Pain, Hypochondria,
extending to back)
কন্ডুরাঙ্গো
দুই দিকের ঠোঁটের কোন বিশ্রীভাবে ফেটে ঘা হয়ে যায়, সাংঘাতিক ব্যথাও হয়,
( এইরকম ঘায়ে যদি সমানে খুঁটতে থাকার প্রবৃত্তি থাকে—- এ্যারাম ট্রিফাইলাম)
কুপ্রাম এ্যাসেটিকাম
যে ঘরের ছাদ অনেক উঁচুতে, যেমন বৃটিশ আমলের কোন বাড়ী, সেই সব ঘরে বসলে মাথা ঘোরে,
কুপ্রাম মেটালিকাম
হাতে বা পায়ের আঙুলগুলিতে বা পুরো হাতে বা পায়ে ভীষণ খিল ধরে ( Cramps),
( হাতে পায়ে নয়, বুকে, পিঠে, মুখের মাংসপেশীতে ভীষণ খিল ধরে — সিকুটা ভিরোসা)
কাশির সময় মনে হয় — কাশি বন্ধ হয়ে গেল, কিন্তু তা হয় না, সাথে সাথেই আবার আরম্ভ হয়, আবার মনে হয় বন্ধ হয়ে গেল, কিন্তু না, আবার—– এইভাবে তিনবার হয়ে তারপর তখনকার মতন আর হয় না,
( স্টানাম মেট),
( কাশি দুইবার এমন হয়— মার্ক সল)
কাশি ঠান্ডা জল খেলে কমে ( কষ্টিকাম)
হাম, পকস, ইত্যাদির ইরাপসন বা উদ্ভেদ সামান্য বেরিয়েই আবার বসে যায় — তার জন্য হাই ফিভার বা তড়কা ইত্যাদি হতে থাকে, ( সিকুটা, জিঙ্কাম মেট),
মুখের মধ্যে বিস্বাদ — কেমন যেন বিদঘুটে মেটালিক টেস্ট , ( মার্ক সল) ,
জলপান করার সময় জল যখন গলা দিয়ে নামে গলার মধ্যে গড়গড় শব্দ হয়– বাইরে থেকে শোনা যায়,
ক পিকিউলিয়ার লক্ষণে হোমিওপ্যাথির ঔষধের ব্যাবহার অন্যতম সাইক্লামেন
অনেক সিম্পটমস পালসেটিলার মতন কিন্তু —
শীত বেশী, খোলামেলা হাওয়া পছন্দ করে না, এবং
মাসিক হতে থাকলে ভাল বোধ করে —- এই তিনটি সিম্পটমস পালসেটিলার বিপরীত,
রান্না করা সব তরকারীতেই মনে হয় লবন বেশী দিয়েছে,
চোখের সামনে হঠাৎ হঠাৎ নানারকম রংয়ের বাহার দেখে
চিমাফিলা
মলদ্বার ও একসটারনাল জেনিটেলিয়ার মাঝখানে যেন বলের মতন কিছু আটকে আছে,
( Sensation of a ball in the perineum)
চেনোপোডিয়াম
মানুষের কথা ভাল শুনতে পায় না, কিন্তু গাড়ীর শব্দ ভাল শুনতে পায়,
ক্যাস্টর ইকুই
মহিলাদের ব্রেস্টের নিপলে ফাটা ঘা, সহজে সারতে চায় না, আলসার হয়ে যায়,
( হেরিং এবং তার ছাত্রেরা বহু বার পরীক্ষা করেছেন)
শেংকরিস
( উত্তর আমেরিকার কপারহেড নামের সাপের বিষ থেকে),
শ্বাসকষ্টে শারীরিক ও মানসিক সব লক্ষন আর্সেনিক এ্যালবার মতন, তাই যখন আর্সেনিকে বেশী উপকার না মিলবে তখন ভাবা যেতে পারে,
রোগীর সেকস আর্জ বেশী,
ক্লোরেলাম হাইড্রেটাম
আর্টিকেরিয়া বা আমবাত বেশী বড় আকারে না হয়ে হামের মতন ছোট ছোট স্পটে বেরোয়, ভীষণ চুলকায়, অনিদ্রা,
কফিয়া ক্রুডা
অতি আনন্দে যখন পরপর রাতে ঘুুম হয় না —- যেমন— লটারিতে মোটা টাকা পাওয়ার খবরে, চাকরীতে জয়েন করবে সেই আনন্দে, ভোটে জিতে নেতা হয়েছে সেই আনন্দে,
ব্যথা সহ্য করার সহ্যশক্তি মোটেই নেই, ( এ্যাকো, ক্যামো),
দাঁতের ব্যথা মুখের মধ্যে কিছুক্ষন ঠান্ডা জল ধরে রাখলে আপাকতঃ কমে,
চায়না
বাচ্চা যখন বুকের দুধ খায়, তখন দাঁতে ব্যথা করে,
( তখন জরায়ুতে ব্যথা করে– পালস) ,
ব্যথার জায়গা সামান্য স্পর্শে লাগে , কিন্তুু জোরে চাপলে আরাম ,
এক হাতের তালু গরম, অন্য হাতের তালু ঠান্ডা ,
জ্বর রাতে বাড়ে না, কিন্তুু ,
ডায়েরিয়া রাতে বাড়ে,
সিনাবেরিস
কনজাংটিভাইটিসে চোখ লাল টকটকে হয়, ফোঁড়া লাল টকটকে, আলসারের ভিতরটা লাল টকটকে,
সিস্টাস ক্যানাডেনসিস
হিপার সালফারের মতন সাংঘাতিক শীতকাতুরে, ঠান্ডাতে ভীষণভাবে কাবু হয়, শরীরের জায়গায় জায়গায় ঠান্ডা অনুভূত হয়, এমনকি শরীরের ভিতরেও—পেটে, বুকে, ইত্যাদি জায়গায়,
মুখে খুব দূর্গন্ধ হয়,
( ব্যাপটি, কার্বলিক এ্যাসিড),
ক্লিমেটিস ইরেক্টা
প্রস্রাব আটকে যায়, ফোঁটা ফোঁটা করে হয়, মনে হয় প্রস্রাব নালি যেন সাঁড়াশি দিয়ে চেপে ধরে রেখেছে,
( হার্ট যেন সাঁড়াশি দিয়ে চেপে ধরে রেখেছে— ক্যাকটাস) ,
দাঁতের ব্যথা তামাক জাতীয় কিছু মুখে ঢুকালে বাড়ে, এমন কি বিড়ি সিগারেট টানার পরেও খুব বাড়ে, রাতে বাড়ে,
টেষ্টিসে খুব টনটনে ব্যথা হয়, ডান টেষ্টিসে বেশী, রাতে ব্যথা বাড়ে,
কোকা
ফুসফুসকে দ্রুত অক্সিজেন টেনে নিতে সাহায্য করে।
তাই বিভিন্ন এ্যালটিচুড সিকনেসে
যেমন—খুব উঁচু জাগায় উঠলে, উঁচু পাহাড়ে চড়াকালীন বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা, বুক ধরফড়ানি, উৎকন্ঠা, অনিদ্রা, সব কমাতে সাহায্য করে ,
চামড়ার উপরে যেন ছোট ছোট পিঁপড়ে হেঁটে বেড়ায়,
( Formication sensation) ,
ককুলাস
কোন ব্যাপারে বা ঘটনায় যখন রাতের পর রাত উৎকন্ঠার সাথে অনিদ্রার যুগল মিলন হয়,
বইপোকা, সবসময় বই বা কিছু না কিছু পড়তে চায়,
বাসে বা ট্যাকসিতে উঠলেই বমি করে,
চলমান গাড়ী দেখলেই মাথা ঘোরে,
মাসিকের তারিখে মাসিক না হয়ে সাদাস্রাব হয়,
মাসিক চলাকালীন সময়ে শরীর প্রচন্ড দূর্বল লাগে,
**বিঃদ্রঃ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোন ওষুধ গ্রহণ করবেন না**