মেয়েদের যৌন আগ্রহ কমে যাওয়ার কারণ-
চিকিৎসাসহ জেনে নিন কেন নারীরা সহ-বাসে অনীহা দেখায় কি?
মেয়েদের যৌন আগ্রহ কমে যাওয়ার কারণ | চিকিৎসাসহ জেনে নিন কেন নারীরা সহ-বাসে অনীহা দেখায় –
১. আপনার স্ত্রী কি গর্ভনিরোধের জন্য পিল (oral contraceptives) ব্যবহার করেন?
গর্ভনিরোধোক বড়ির প্রভাবে শরীরে অনেক সময় টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে গিয়ে যৌনইচ্ছা কমে যেতে পারে।
আপনারা পিল ছেড়ে অপর কোন গর্ভনিরোধ ব্যবহার করে দেখতে পারেন। মনে রাখবেন পিল খাওয়া ছেড়ে দিলেও শরীরে তার প্রভাব পড়তে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
২. সঙ্গমের সময় কি আপনার স্ত্রীর ব্যাথা লাগছে, বা শারীরিক কোন কষ্ট হচ্ছে?
অনেক সময় বিভিন্ন কারণে মহিলাদের যোনিপথ ঠিকমত লুব্রিকেটেড হয়না।
এমতাবস্থায় সেক্স কষ্টদায়ক হতে পারে ও তার ফলস্বরূপ মনে সেক্সের ইচ্ছা জাগেনা।
নিশ্চিন্ত হোন যে আপনার স্ত্রীর এমন কোন সমস্যা নেই। সমস্যা থাকলে স্ত্রী-রোগবিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
মেয়েদের যৌন আগ্রহ কমে যাওয়ার কারণ
৩. প্রেগন্যান্সি, সন্তানের জন্ম, সন্তান পালন, বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো ইত্যাদির সময়ও শরীরে হরমোনের মাত্রার তারতম্যের ফলে যৌনইচ্ছা কমে যেতে পারে। এছাড়া ওই সময় বাচ্চার দেখভাল করতে করতে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিও যৌনজীবনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
গর্ভাবস্থা ও সন্তানের জন্মের পর অনেকের শরীরেই বিভিন্ন প্রকার পরিবর্তন হয় (যেমন মোটা বা রোগা হয়ে যাওয়া, যৌনাঙ্গের পরিবর্তন ইত্যাদি)।
এর ফলে নিজের শরীর সম্মন্ধে আত্মবিশ্বাস কমে যায়। তার থেকেও যৌনইচ্ছা কমতে পারে।
৪- মেনোপজের কিছু আগে থেকেই মহিলাদের শরীরে যৌন হরমোনের মাত্রা কমতে শুরু করে।
এর ফলে যৌন চাহিদা কমে যেতে পারে, যোনিতে লুব্রিকেশন ঠিক না হবার দরুন সঙ্গমকালে ব্যাথা লাগতে পারে। দুটোই সুস্থ যৌনজীবন ব্যহত হবার কারণ।
৫. বিভিন্ন মানসিক রোগ যেমন মানসিক অবসাদ, দুশ্চিন্তা, আত্মবিশ্বাসের অভাব, পূর্বের খারাপ যৌন অভিজ্ঞতা ইত্যাদির ফলেও মহিলাদের মন সেক্সের প্রতি বিরূপ হতে পারে।
৬. আপনার স্ত্রীর সাথে আপনার সম্পর্কে সমস্যা থাকলেও যৌন জীবনে সমস্যা হওয়া খুবই সম্ভব।
নিজেদের মধ্যে ঠিকমত কথাবার্তা না বলতে পারলে বা একের চাহিদা, সমস্যা অপরে বুঝতে না পারলে, কোন অমীমাংসিত ঝগড়া-ঝাটি থাকলে তার প্রভাব যৌন জীবনে পড়তে বাধ্য।
আপনি যেভাবে সেক্স করতে চান হয়তো সেটা আপনার স্ত্রীর পছন্দ নয়।
এমতাবস্থায় নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা একান্ত প্রয়োজন। প্রয়োজন হলে কোন সেক্স থেরাপিস্ট বা মানসিক রোগ চিকিৎসকের সাহায্য নিতে পারেন।