বক্ষ স্থলে শোথ বা পানি জমার চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি, বক্ষ স্থলে শোথ বা পানি জমা একটি জটিল ও কঠিন রোগ।আর বক্ষ স্থলে শোথ বা পানি জমার চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
ফুসফুসের উপরে যে পাতলা আবরনী থাকে উহাকে প্লুরা বলে।
এই আবরনীর ভিতরে সাধারণত পানি জমে থাকে। হার্ট, লিভার, কিডনী সহ অন্যান্য অঙ্গের জটিলতার দরুন বক্ষ পিঞ্জরে পানি জমতে পারে।
ফুসফুসের পর্দায় আধা লিটার থেকে চার পাঁচ লিটার পর্যন্ত পানি জমতে পারে।
এই রোগ জটিল আকার ধারণ করলে ক্যান্সার হয়ে রোগী মৃত্যুবরণ করতে পারে।
বক্ষ স্থলে শোথ বা পানি জমার চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথির ভুমিকা
বক্ষ পিঞ্জরে পানি জমার কারণঃ
ধুমপান,
দীর্ঘ দিনের ঠাণ্ডা লাগা,
নিউমোনিয়া,
যক্ষা,
ফুসফুসের ক্যান্সার,
নেশা দ্রব্য গ্রহণ,
ঔষধের ক্রিয়া,
বিভিন্ন রোগের জটিলতা সহ বহুবিধ কারনে বক্ষ পিঞ্জরে পানি জমতে পারে।
রোগ লক্ষণ অনুযায়ী হোমিও ঔষধ সমুহ ঃ
Apis Mel : বক্ষ পিঞ্জরে পানি জমলে প্রথম অবস্থায় ইহা একটি চমৎকার ঔষধ। ঠান্ডা লাগা,
শ্বাসকষ্ট, বুকে খোঁচা মারা ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণে apis Mel সুন্দর কাজ করে।
Sulpher : বক্ষ পিঞ্জরে পানি জমিয়া শ্বাসকষ্ট, বুকের ভিতর জ্বালাপোড়া এবং বাববার এই রোগ ফিরে আসলে সেখানে sulpher দারুন কাজ করে।
Apocynum : শোথ রোগের জন্য ইহা একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। বক্ষ স্থলে পানি জমিয়া অত্যন্ত শ্বাসকষ্ট
এমনকি কথা বলতে পারে না, বমি হওয়া, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণে apocynum অব্যর্থ ফলাফল প্রদান করে থাকে।
Arsenic alb : বুকে পানি জমিয়া প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট এমনকি কথা বলতে পারে না মনে হয় দম বন্ধ হয়ে গিয়াছে, বুকের ভিতর ধড়পড় ইত্যাদি লক্ষণে Arsenic alb অব্যর্থ ফলাফল প্রদান করে।
Antim tart : বক্ষ পিঞ্জরে পানি জমিয়া শ্বাসকষ্টের সহিত অন্যান্য উপসর্গে antim tart কার্যকরী ঔষধ।
বক্ষ পিঞ্জরে শোথ একটি জটিল ও কঠিন রোগ যার দরুন আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু ঘটতে পারে।
তাই এই রোগের প্রাথমিক অবস্থায় একজন অভীজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা গ্রহণের প্রয়োজন বলে মনে করি।
বিঃদ্রঃ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোন ওষুধ গ্রহণ করবেন না।