ফসফরাস এর মাইন্ড লক্ষন কি?
ফসফরাস এর মাইন্ড লক্ষন হল
১:অস্থির প্রকৃতির
২: ভীতু স্বভাবের
৩:আশঙ্কা যুক্ত
৪: কখনো উদাসীন, কখনো রাগী
৫: মন বেশ দরদী।অন্যের দুঃখে কাঁদে, লোককে সাহায্য করে অর্থ দিয়ে বা অন্য যেকোন উপায়ে সে উপকার করতে ইচ্ছা পোষণ করে।
৬: দুর্বল স্নায়বিক প্রকৃতির
৭:সক্রিয় মানসিকতা, যে কোন ব্যপারে খুব সচেতন
৮: আলো-শব্দে -স্পর্শ সবরকম ব্যাপারে বেশ অনুভূতিপ্রবণ
মায়াজমেটিক ব্যাকগ্রাউন্ডে সোরা, সাইকোসিস, সিফিলিস।
আসুন এবার আমরা একটু ফসফরাসের মন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি।
*ফসফরাস বুদ্ধিমান এবং চালাকচতুর ধরনের ব্যক্তি।
সে সব সময় বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করে।বিচক্ষণতার সাথে ভবিষ্যতের পা ফেলাতে সে খুব সচেতন।
এককথায় বোকামির বিরুদ্ধে কাজ করে ফসফরাস।
অর্থাৎ ফসফরাস বুদ্ধিমান, চালাক চতুর, বিবেচক, সচ্য চিন্তাভাবনা অধিকারী।
কিছুটা ভবিষ্যতের চিন্তা, সে আশঙ্কায় থাকে জীবনের নিরাপত্তা জনিত দুশ্চিন্তায়।
ফসফরাস এর রোগী ঝঞ্ঝাট ঝামেলা বা গ্যাঞ্জাম পছন্দ করেনা কারন সে মনে করে,হতে পারে কখনো না কখনো তাকে প্রয়োজন পড়তে পারে।
সে জন্য সে ঝামেলা থেকে এড়িয়ে চলে।
ফসফরাস একদিকে নির্লজ্জ অন্যদিকে ভীত।
সে উলঙ্গ হয়ে ঘুরে বেড়ায় উন্মাদের মত আচরণ করে তবে সেই সাথে তার অন্ধকার একটা ভয় কাজ করে।
একা থাকার ভয় কাজ করে।
এই রোগী ইগ্নেশিয়া মতো উন্মাত অবস্থায় এই হাসে এই কান্না করে।
ফসফরাসের রোগী চালাক এবং চতুর হওয়ায় সে ঝুট ঝামেলা এড়িয়ে চলে এবং স্নেহ ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা অর্জন করতে চাই সেই ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে নিজের অনিচ্ছা সত্ত্বেও দায়িত্ব গ্রহণ করে।
আছে তীক্ষ্ণ স্মৃতিশক্তিও দিব্যদৃষ্টি।
সে মহিলাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে তখনই তার অন্ধকার সাইট সামনে চলে আসে।
ফসফরাস তখন হয়ে ওঠে ব্যাভিচারী, ভন্ড, প্রণয় প্রবন,লজ্জাহীন, উলঙ্গ হবার বাসনা যুক্ত নগ্ন মানসিকতার মানুষ।
ওপিয়াম এর রোগী যেমন “কান দিয়ে দেখে” ফসফরাস এর রোগী তখন “চোখ দিয়ে শোনে”।সবকিছু বুঝে যায় তার অনুভূতি শক্তি এতই বেশি
আমরা ফসফরাসের রোগীকে একটি দেশলাই কাঠির সাথে তুলনা করলে 70 পার্সেন্ট ফসফরাস সম্পর্কে জানা সম্ভব।