পুরুষের অন্ডকোষ ঝুলে যাওয়ার কারণ কি?
পুরুষের অন্ডকোষ ঝুলে যাওয়ার কারণ এই ব্যাপারটা যখন আমি প্রথম জানতে পারি তখন খুবই আশ্চর্য হয়ে যাই স্রষ্টা আমাদেরকে কত যত্ন করে বানিয়েছেন কি সুন্দর তার সৃষ্টি!!
আমরা তো সবাই জানি মানুষের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হল ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে
আমরা জ্বর হয়েছে বলে ধরে নিই আবার স্বাভাবিক চেয়ে কম হলে আমাদের দেহে ঠান্ডা (শীত) লাগে।
এই প্রক্রিয়াটি আমাদের দেহের স্বাভাবিক ঘটনা।
এখন যদি আপনার দেহের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক ভাবে বেরে যায় তাহলে কি হবে সেটা জানেন? যেটা হবে সেটা হলো অর্গান ডেমেজ হয়ে যাবে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধবে শরীরে।
আবার যদি অস্বাভাবিক ভাবে কমে যায় তাহলে দেহে রক্ত জমাট বেঁধে মানুষ মারা যাবে।
এতো কথা বলার একটি কারণ আছে সেটা হল, আপনি কি জানেন অন্ডকোষ বা টেস্টিস এ আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা চেয়ে ৩ ডিগ্রি কম থাকে?
অন্ডকোষ বা টেস্টিস ঝুলে থাকার কারন হল তাপমাত্রা। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে ওখানে তাপমাত্রা কম কেন থাকে।
কারণ হল অন্ডকোষ বা টেস্টিস এ শুক্রাণু তৈরি হয় আর শুক্রাণু হল একটি প্রোটিন আর
এটি যদি তাপের সংস্পর্শে আসে তাহলে জমাট বেঁধে এর কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।
গরমের সময় আমাদের দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা একটু বেশী থাকে তাই অন্ডকোষ বা
টেস্টিস নিচের দিকে ঝুলে যায় যাতে কনস্ট্যান্ট (নির্দিষ্ট 35°F) তাপমাত্রা বজায় রাখতে পারে।
আবার শীতের সময় যখন বাহিরে (পরিবেশের) তাপমাত্রা কম থাকে কিন্তু আমাদের
শরীরে তাপমাত্রা বেশি থাকে তাই টেস্টিস বা অণ্ডকোষ উপরের দিকে উঠে শরীরের সাথে লেগে থাকে যাতে তার নির্দিষ্ট তাপমাত্রা বজায় রাখতে পারে।
শুক্রাণু বা স্পার্ম উৎপাদনের জন্য আদর্শ তাপমাত্রা হচ্ছে ৩৫৹ ফারেনহাইট।
তাই টেস্টিস বা অণ্ডকোষ ঝুলে যাওয়া কোনো রোগ নয় এটা একটি স্বাভাবিক ঘটনা।