ঘর্ম (ঘাম) নিজে কোন রোগ নয়। অন্য কোন রোগের উপসর্গ মাত্র। সাইকোটিস দোষাদী রোগীদের ঘর্মে দুর্গন্ধ হয়।
সামান্য পরিশ্রম অধিক ঘাম হইলে দুর্বলতার লক্ষন।
ঘর্ম (ঘাম) চিকিৎসা
সাইলেসিয়া (Silicea) : শীত কাতরে রোগী হাত ও পায়ের তলায় দুর্গন্ধ ঘাম। মাথার সম্মুখ ভাগ অর্থাৎ মুখমন্ডলের ঘামেও সাইলেসিয়া উপকারী।
ক্যালেডিয়াম(Caladium) : ঘাম মিষ্টি, শরীর ঘামিলেই গায়ে মাছি বসে।
এসিড নাইট (Acid Nit) : শীত কাতর ক্রূদ্ধ স্বভাব, ভীরু, প্রস্রাবে তীব্র গন্ধ, হাতে, পায়ে, বগলে দুর্গন্ধ ঘাম। পায়ের ঘামে আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা।
ক্যালকেরিয়া কার্ব (Calcarea Carb) : মোটা থল থলে মেদপূর্ণ রোগীদের সমস্ত শরীর ঘামে। টক গন্ধযুক্ত মাথার ঘামে বালিশ ভিজে।
এসিড ল্যাকটিক (Acid Lactic) : হাত বা পায়ের তালু অত্যন্ত ঘামে, ঘামে কোন রূপ গন্ধ না থাকিলে ইহা উপকারী।
ভেরেট্রাম এলব (Veratrum Alb) :
কপালে ঠান্ডা ঘাম। নতুন, পুরাতন, জটিল, কঠিন যে কোন রোগেই হোক কপালে ঠান্ডা ঘাম থাকিলে ভেরেস্ট্রাম তা আরোগ্য করিতে পারে।
বোভিষ্ট (Bovista) : শীত কাতরে রোগী বগলের ঘামে রসুনের গন্ধের মত গন্ধ হইলে ইহা উপযোগী।
সোরিনাম (Sorinum) :
অপরিস্কার, নোংড়া, ময়লা হাতে খাদ্য খায়। ধূলা বালি পায়ে বিছানায় শুইতে যায়, শীত কাতর, স্নান করিতে চায় না।
এই ধাতুর রোগীদের শরীরে দুর্গন্ধ ঘাম, লোক কাছে বসিতে চায় না।
কোনিয়াম (Conium) : ঘুমের জন্য চক্ষু মুুদত করিলে ঘুমের তন্দ্রা আসিলে সমন্ত শরীর ঘামিয়া যায়।
থুজা (Thuja) : বদ মেজাজী, নাতিশীতোষ্ণ রোগীর নিদ্রা অবস্থায় শরীর ঘামে। ঘুম ভাঙ্গিলে ঘাম বন্ধ।
স্যাম্বুকাস (Sambuces) :
ঘুমের সময় শরীর শুষ্ক, ঘুম থেকে জাগিলে শরীরে র্ঘম। উক্ত ঘর্মের লক্ষনে ঔষধ প্রয়োগ করিলে নতুন, পুরাতন জটিল বা কঠিন পীড়া আরোগ্য হইতে পারে।
বাইওকেমিক চিকিৎসা
নেট্রাম মিউর (Natrum Mur) : অল্প পরিশ্রম প্রচুর ঘর্ম। ঘর্মের পর দুর্বলতা অনুভাব করিলে উহা উপকারী।
পথ্য ও আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থা
ঘর্মাক্ত অবস্থায় গোসোল করা উচিত নয়। প্রসাধনী পাইডার দ্বারা ঘর্ম রোধ করা ক্ষতিকর। লঘু পাক, পুস্টিকর আহার করা বিধেয়। ধুম পান,ও গুরুপাক দ্রব্যাদি নিষিদ্ধ।
**বিঃদ্রঃ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোন ওষুধ গ্রহণ করবেন না**